শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এরদোয়ান পত্নী

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এরদোয়ান
পত্নী
বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর
২০১৭: মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন
অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা
দেশটির মুসলিম নাগরিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন তুরস্কের ফার্স্ট
লেডি এমিনে এরদোয়ান।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশেষ
বিমানে করে কক্সবাজারে পৌঁছান তিনি।
সেখানে কুতুপালংয়ে নিবন্ধিত শরণার্থী
ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার সঙ্গে
রয়েছেন।
পরে কক্সবাজরের বিভিন্ন নিবন্ধিত ও
অনিবন্ধিত ক্যাম্প ঘুরে দেখার কথা রয়েছে
তুরস্কের ফার্স্ট লেডির। মিয়ানমারের রাখাইন
অঞ্চলে সেনাবাহিনীর অব্যাহত দমন-পীড়নের
মধ্যে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে
কথাও বলেন এমিনে।
এর আগে মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়নের
মুখে পালিয়ে আসা দেশটির মুসলিম
নাগরিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে
বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে ঢাকা
পৌঁছান এমিনে এরদোয়ান। পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে
তাকে অভ্যর্থনা জানান।
ঢাকা ছাড়ার আগে বৃহস্পতিবারই এমিনে
এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৪ অগাস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন
রাজ্যে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির
হামলার পর সেখানে নতুন করে অভিযান শুরু
করে দেশটির সেনাবাহিনী।
এরপর বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে
রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। জাতিসংঘের
হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত এই দফায় প্রায় এক লাখ
৪৬ হাজার মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে
বাংলাদেশে ঢুকেছে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে পালিয়ে আসা কয়েকজন
রোহিঙ্গা বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা
অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নির্বিচারে গুলি করে
মানুষ মারছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও
পুলিশ।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার মিয়ানমারের
ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে
টেলিফোনে কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।
শান্তিতে নোবেলজয়ী দেশটির গণতান্ত্রিক
আন্দোলনের নেত্রীর কাছে রোহিঙ্গাদের উপর
নিপীড়নে মুসলিম বিশ্বের গভীর উদ্বেগ
তুরস্কের প্রেসিডন্ট তুলে ধরেন বলে রয়টার্সের
খবরে বলা হয়।
রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা ‘গণহত্যার
শামিল’ এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন
হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এরদোয়ান।
তবে রাখাইন রাজ্যের সবাইকে তার সরকার
সুরক্ষা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন সু চি।
তিনি বলছেন, ভুয়া ছবি ও খবরের মাধ্যমে
বাস্তব পরিস্থিতিকে বিকৃত করে সন্ত্রাসীদের
স্বার্থে প্রচার করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত
নিপীড়ন চলে আসছে কয়েক দশক ধরে। বিভিন্ন
সময়ে নিপীড়ন সহিংসতার মুখে সেখান থেকে
পালিয়ে এসে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এসব শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ
বার বার আহ্বান জানিয়ে এলেও মিয়ানমার
তাতে সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশে আশ্রয়
নেওয়াদের নাগরিক হিসেবেও মেনে নিতে
নারাজ মিয়ানমার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বন্দরবাজারে সংঘর্ষের ঘটনার পুলিশের মামলা #আলোকচিত্রী :মুছলিম আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর সিলেটের বন্দর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি-ছাত্রদলে...