মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সরকার চিন্তিত, কিছুটা ক্ষুব্ধ: অর্থমন্ত্রী ফাইল ছবি।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সরকার চিন্তিত,
কিছুটা ক্ষুব্ধ: অর্থমন্ত্রী
ফাইল ছবি।
সোমবার, ০৪ সেপ্টেম্বর
২০১৭: মিয়ানমারের রাখাইনে দমন অভিযানের মুখে
বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল
নামায়
সরকার ‘কিছুটা চিন্তিত ও ক্ষুব্ধ; বলে জানিয়েছেন
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে সোমবার নিজের কার্যালয়ে
ফিরে
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা
বলেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুহিত
বলেন, “এটা নিয়ে আমরা কি বলব… এটা নিয়ে
চিন্তিত, কিছুটা
ক্ষুব্ধ এবং আমরা এখন যেটা করছি… বিশ্ব জনমতে
ব্যাপকভাবে নাড়াচাড়া দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
“আপনারা শুনেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ
সম্পর্কে বলেছেন… আমরা মনে করি এটা এমন একটা
বিষয়, যেখানে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
প্রতিবেশী মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মুখে
গত
কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে ৫
লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান। বাংলাদেশ
সরকার তাদের
ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এলেও মিয়ানমার
তাতে
সাড়া দেয়নি।
এরইমধ্যে গত ২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে
পুলিশ
পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের
হামলার পর সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল
নেমেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা
ইউএনএইচসিআরের
হিসাবে, গত ১১ দিনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা
রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার গত
শুক্রবার তিন দফা বাংলাদেশের আকাশ সীমা
লঙ্ঘন করলে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ
জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া
বিষয়ক
ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস
ওয়েলস গত
৩০ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
সাক্ষাৎ
করতে গেলে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান রোহিঙ্গা
অনুপ্রবেশ বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ দিতে
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে মুহিত বলেন, “আমরা মিয়ানমারের সাথে
ভালো
সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি, রাখছিও। কিন্তু তাদের
অত্যাচারী যে একটা মনোভাব এতদিন ধরে চলছে
এবং
যেখানে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়… শান্তির জন্য
পুরস্কারপ্রাপ্ত অং সান সুচি… তিনিও এটাকে
সমর্থন করে
যাচ্ছেন। অত্যন্ত ঘৃণিত এই পদক্ষেপ।”
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন,
তেমন বৃষ্টি না হওয়ার এবার স্বস্তিদায়ক ঈদ হয়েছে।
“যেটা ভাবা হচ্ছিল ঈদে বৃষ্টি হবে; কিন্তু বৃষ্টি না
হওয়া সবাই
ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।”
ঈদের ছুটি শেষে কার্যালয়ে ফিরে নিজের দপ্তরের
কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মেহমানদের মিষ্টি দিয়ে
আপ্যায়ন
করেন মুহিত।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীও তার মন্ত্রণালয়ে
কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা
বলেন।
তিনি বলেন, “মনুষ্য সৃষ্ট এই দুর্যোগের ফলে বাড়তি
বোঝা চেপে যাচ্ছে, আমাদের সামর্থ্যের বাইরে
একটি বোঝা হয়ে আজকে আসছে। এদের খাবার
জোগাড় করা, এর তো একটা খরচ আছে। আমি
বিশ্বের
বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে দ্রুত সাহায্য
কামনা করব।
মিয়ানমান সরকারকে চাপ সৃষ্টি করে ফেরত
পাঠানোর
চেষ্টা করতে হবে। এটাতো প্রথম না… প্রায়ই এমন
হচ্ছে।”
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী
খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার দপ্তরে
সাংবাদিকদের
বলেন, “এবার ঈদে মানুষের মনে উৎসবের আমেজ
বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গ্রামের মানুষ ভালোভাবে
ঈদ উদযাপন করেছে।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল
হামিদ বিপু
সাংবাদিকদের বলেন, “আমার চেষ্টা করেছি এবার
ঈদে
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে। দেশের
অধিকাংশ এলাকায়
ভাল অবস্থায় ছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের ঝড়ে
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সিমিশন এখনও কমপ্লিট হয়নি; হয়ত এ
মাসে
শেষ হবে। এ কারণে কিছু কিছু এলাকায় কিছুটা
সমস্যা ছিল।”
আগামী মে-জুনের মধ্যে দেড় থেকে দুই হাজার
মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে
জানিয়ে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গরম, রোজা ও সেচের চাহিদা
একসাথে আসছে। আমাদের টার্গেট, অন্তত পনেরশ
মেগাওয়াট অতিরিক্ত যাতে দিতে পারি সরবরাহ
নিরবচ্ছিন্ন
রাখার জন্য। আশা করছি আগামী বছর আরও তিন
হাজার
মেগাওয়াট যেন যুক্ত হয়।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য ছিল প্রতিবছর
বিদ্যুৎ উৎপাদন ১২০০ মেগাওয়াট করে বাড়ানোর। তা
না
পারলেও ৯০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট করে বছরে
বাড়ছে।
“এখন ডিমান্ড বেড়ে গেছে দুই হাজারের উপরে, এ
কারণে রিভিউ প্ল্যান করে ফেলেছি। আশা করছি
সমস্যা
হবে না।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বন্দরবাজারে সংঘর্ষের ঘটনার পুলিশের মামলা #আলোকচিত্রী :মুছলিম আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর সিলেটের বন্দর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি-ছাত্রদলে...