বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

কমলগঞ্জে দুই সন্তানের জনকের মৃত্য

কমলগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে
দুই সন্তানের জনকের মৃত্য
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে
গলায় ফাঁস দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে দুই
সন্তানের এক জনকের মৃত্যু হয়েছে। রহিমপুর
ইউনিয়নের জগৎশালা গ্রামে গত মঙ্গলবার (২৯
আগষ্ট) দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়,
জগৎশালা গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে দুই
সন্তানের জনক মো: নুরুল ইসলাম (৪০) মঙ্গলবার
দিবাগত গভীর রাতে ঘরের চালার সাথে
নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বুধবার সকালে বাড়ির লোকজন ঘরের চালাল
সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে দ্রুত দেহটি
নামিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে
নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল
ইসলাম কে মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত
চিকিৎসক ঘটনাটি পুলিশ কেইস বলে থানাকে
অবহিত করার পরামর্শ দিলেও স্বজনরা মো:
নুরুল ইসলামের লাশটি বাড়িতে নিয়ে এসে
দাফন সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার
পুলিশের একটি দল নিহতের বাড়ি তদন্ত শুরু
করে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলেও মো: নুরুল
ইসলামের বাড়ির কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
তবে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিম
উদ্দীন এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত
করে বলেন, গ্রামে গুঞ্জন শুনা যায়
পারিবারিক কলহের জের ধরে নুরুল ইসলাম
আত্মহত্যা করেছে। কমলগঞ্জ থানার অফিসার
ইনচার্জ মো. বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যু রহস্য খতিয়ে দেখতে
ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো
হয়েছে।

প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

দক্ষিণ ‍সুরমায় প্রাইভেটকারের
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ভূমি
কর্মকর্তার ছেলেসহ নিহত ২
বুধবার, ৩০ আগস্ট ২০১৭:
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পারাইরচক
বাইপাস এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট
কারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সদর
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার ছেলে ও চালক নিহত
হয়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে এ
ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় কারটি ভস্মিভূত হয়ে গেছে।
এসময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- শেখঘাট শুভেচ্ছা-৬৮ নং বাসার
বাসিন্দা ও সিলেট সদর উপজেলা ভূমি অফিসের
তহসীলদার আসবা উদ্দিন লিটুর ছোট ছেলে, বৃটিশ
স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আসিফ আলাদি (১৭) ও
সিলেট সদর উপজেলার টুকের গাঁও গ্রামের সিরাজ
উদ্দিনের পুত্র কার চালক পলাশ (২২)। পুলিশ
স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ভূমি কর্মকর্তা
আসবা উদ্দিন লিটু অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে
নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
খায়রুল ফজল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- সম্ভবত
ড্রাইভিং শেখানোর সময় প্রাইভেট কারের
নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে একটি গাছের সাথে ধাক্কা
খেলে কারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে
আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে এক ভূমি কর্মকর্তার
ছেলেসহ কারের চালক নিহত হয়েছে।
প্রাইভেট কার নং (ঢাকা মেট্রো-গ, ৩৯৩৮২৮)
ভস্মিভূত হয়ে নিহত দুজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান
বলেও তিনি জানান। #আলোকচিত্রে : মুছলিম আলী

বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী

মিফতাহ্ সিদ্দিকীর উদ্দ্যোগে
বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্টা
বার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র্যালি
বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্টা
বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি
বের হয়। নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে শুরু
হয়ে রিকাবীবাজার পয়েন্টে গিয়ে এক
সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি
এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিবের
সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল
আজিজের পরিচালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে
মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাংগটনিক
সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন রাষ্ট্রকে
রক্ষা করতে জনগণকেই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ আন্দোলনে নামতে হবে।
আমরা আজ কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি ,
স্বাধিনতার পর থেকে এতো কঠিন সময়
আমাদেরকে আর পার করতে হয় নি।
রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির ভাষায় যদি
বলতে হয় , রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গের
মধ্যে নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগ সম্পূর্ণ
ধ্বংশপ্রাপ্ত ,বাকি বিচার বিভাগ ধুকছে ।
অর্থাৎ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তস্নাত দেশ আজ
ক্রমে অকার্য্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
গুম,খুন,ধর্ষণ আজ নিত্যদিনের সঙ্গি , শান্তিতে
নিঃশ্বাস ফেলার স্থান আজ এ জনপদে নাই ।
দেশের প্রতিটি লোক আজ অজানা আতঙ্কে
দিনানিপাত করছে । দেশ যেনো এক ভয়াল
মৃত্যুপূরী । এমনি অবস্হায় আর চলতে পারে না ,
চলতে দেয়া যায় না। তিনি সরকারের সকল
নির্যাতনমূলক অচরণের বিরুদ্ধে দেশনেত্রী
বেগম খালেদা জিযার ডাকে ও দেশনায়ক
তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভোটাধিকার ও
বাকস্বাধিনতা ফিরিয়ে আনতে, একটি সুন্দর
আগামীর প্রত্যাশায় , জনগণকে সরকারের সকল
অন্যায় ও নির্যাতনের রিবুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে
তুলতে তিনি সকলকে মাঠে নামার জন্য আহ্বান
জানান ।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব এডঃ হাবিবুর রহমান
বলেন ৭২-৭৫ সময়ে বাকশালী কায়দায় দেশে
যে নগ্ন ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছিলো
আওয়ামিলীগ ঠিক সেই একই কায়দায় আজ
আবার সারাদেশে ওরা গুম, খুন, ধর্ষন ও লুঠের
মহোৎসবে তারা মেতে উটেছে। মানুষের মত
প্রকাশের স্বাধীনতা আজ চরম ভাবে ভুলন্টিত।
এই অবস্থায় শহীদ জিয়ার সূর্য সৈনিকরা আজ
যেভাবে সকল ভয় ভীতির উর্দ্ধে ওটে রাজপথে
নেমে এসেছে আজকের এই বিশাল সমাবেশই
তার প্রমান। এবং র্যালী শেষে সভার শুরুতে
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বি,এন,পি-র
প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর
রহমান এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে
দু’মিনিট নীরবত পালন করা হয় ।
সভা ও র্যালীতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির
উপদেষ্টা সাইদুর রহমান বুদুড়ী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক
সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস হামজা, মহানগর বিএনপি
নেতা সেলিম আহমদ মাসুদ, সহ যুব সম্পাদক
সুহেল মাহমুদ, বিএনপি নেতা রফিকুল বারী
রোমান, আব্দুল্লাহ বারী শাহেদ, সুহেল আহমদ,
মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ছাত্রদল নেতা জাকির
হোসেন, দেওয়ান রেজওয়ান, সাহেদ সিরাজ,
নজরুল ইসলাম, আহমেদ টিপু, যুবদল নেতা বদরুল
ইসলাম, ছাত্রদল নেতা ফয়েজ আহমদ, এনামুল
ইসলাম লায়েছ, জুবায়ের আহমেদ জুবের,
রায়হান উদ্দিন রাজু, মঞ্জু আহমদ, হাসনাতুল
ঝুমন, শাকিলুর রহমান, কামরুল হাসান তুহিন,
সাফওয়ান আহমদ, হুমায়ন আহমদ, রাজেক আহমদ,
দিলওয়ার হোসেন, মীর সাইদুর রাহমান, সাইফুল
আলম সোহান, রাফি আনোয়ার, সামাদ আহমেদ,
নাসিম হোসেন, জিহাদ খান, সামাদ আহমেদ,
জনি গাজি, কামরুল খান, তৌফিক আহমেদ,
নাইম চৌধুরী, সাফি আহমেদ, রনি আহমেদ,
সুস্মিত সিং রাশা, কাওসার হোসেন রকি,
অববিত আহমেদ, রেজওয়ান আহমেদ, শাওন,
রেজাউল হাসান, রেজু আহমদ, সাদ্দাম হোসেন,
হারুন ইসলাম, সাজু রাহমান, রাজিব আহম্মদ,
রাশেদ আহমদ, হোমায়ুল রব, আরমান আহমদ,
মাহবুব আলম, হাসান আহমদ, এনাম আহমদ,
জাহাঙ্গীর আলম, সুভাষ, মাহদী, ফাহাদ,
সুরঞ্জিত, মো কাওসার আহমদ শিবলু, জুবেদ
আহমদ, রুহুল আমিন, তুহিন আহমদ, হিমেল আহমদ,
জসিম আহম্মদ, সাকিল আহমদ, মোঃ সামি,
শাহিন খান, হাবিব আলম বিজয়, আল মামুন
শুভ,জাবেদ আহমদ, সায়েম আহমদ এবং প্রমুখ।#আলোকচিত্রে : মুছলিম আলী

কমলগঞ্জে মানববন্ধন রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে

রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর
নির্যাতনের প্রতিবাদে
কমলগঞ্জে মানববন্ধন
মিয়ানমারে
রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে
বুধবার বিকাল ৫টায় মৌলভীবাজারের
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষারের শহীদ নগর
বাজারে সর্বস্তরের মানুষের এক বিশাল
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা চলছে।
অতিদ্রুত এ চরম নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধ করতে
হবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা এর তীব্র
পতিবাদ জানাচ্ছি। রোহিঙ্গাদেরকে
স্থায়ীভাবে বার্মাতে বসবাস করার জন্য
জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং
শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের অং সান
সুচিকে সন্ত্রাসের জননী আখ্যায়িত করে তার
নোবেল পদক কেড়ে নেয়ার দাবি
জানিয়েছেন।
মাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ২নং পতনউষার
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক
আহমদ বাবু, সাংবাদিক আব্দুুল হান্নান চিনু,
সমাজসেবক অলি আহমদ খান, মাহমুদুর রহমান
বাদশা, মাওলানা জমির আলী, আবুল বশর
জিল্লুল, মাওলানা শরীফ খালেদ সায়ফুল্লাহ,
মাওলানা লোৎফুর রহমান জাকারিয়া, আব্দুল
মুকিত হাসানি প্রমুখ ।#আলোকচিত্রে : মুছলিম আলী

অস্ত্র সহ আটক চার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল কর্মী

অস্ত্র সহ আটক চার
ছাত্রলীগ ও
ছাত্রদল কর্মীকে
রিমান্ডে চায়
পুলিশ
সিলেট নগরীর
লামাবাজার থেকে অস্ত্রসহ আটককৃত চার
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল কর্মীর বিরদ্ধে পৃথক
অভিযোগে দু’টি মামলা দায়ের করা
হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আটকের পর
বুধবার ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ
করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন
করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার
(গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা।
তিনি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে
দায়েরকৃত দুটি মামলার একটি আইন শৃঙ্খলা
বিঘ্নকারী অপরাধ করার অভিযোগে (দ্রুত
বিচার আইনে) ও অন্যটি অস্ত্র আইনে।
লামাবাজার এলাকার খুশি
এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ঢাকার
নবাবগঞ্জ থানার রায়পুর গ্রামের মো.
আমির খানের অভিযোগে কোতোয়ালি
মডেল থানায় এ মামলা দু’টি দায়ের করা
হয়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আমির খান
লামাবাজারস্থ খুশি এন্টারপ্রাইজ নামক
সিএনজি অটো রিক্সার ব্যবসা করছেন ও
তিনি সিলেটে বসবাস করে আসছেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে দেশীয়
তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ ছাত্রলীগ ও
ছাত্রদল কর্মীকে লামাবাজার পুলিশ
ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক করে
পুলিশ। তারা হল নগরীর মুন্সিপাড়া
এলাকার বাসিন্দা সুনামগঞ্জের দিরাই
উপজেলার দিরাই গ্রামের সমদল
তালুকাদারের ছেলে সুবেন্দ্র তালুকদার
শাওন (২৪), একই গ্রামের মৃত বিজয় রায়
চৌধুরীর ছেলে উজ্জল রায় চৌধুরী (২৩),
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানাধীন
কেলিকানাইপুর গ্রামের মৃত মইন লাল
ঘোষের ছেলে ও বর্তমানে লামাবাজার
ছায়াতরু ২১/ ২ নম্বর বাসার বাসিন্দা অপু
ঘোষ (২২) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের
রায়পাড়া গ্রামের মৃত সুশীল রায়ের ছেলে
সৌরভ রায় (২৫)। এদের মধ্যে উজ্জল নগরীর
লামাবাজার বিলপাড় ৭৩ নম্বর বাসার
বাসিন্দা ও সৌরভ দাঁড়িয়াপাড়া ১৪ নম্বর
বাসার বাসিন্দা।
ব্যবসায়ী আমির খান মামলার অভিযোগে
জানিয়েছেন- ওই চার ছাত্রলীগ কর্মী
দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে চাঁদা দাবি করে
আসছিল। মঙ্গলবার রাত পৌণে ৮ টার
দিকে তারা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
আগ্নেয়াস্ত্রসহ উপস্থিত হয়ে চাঁদা দাবি
করে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশকে
অবগত করেন।#আলোকচিত্রে : মুছলিম আলী

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৭

‘ঈশ্বর, রোহিঙ্গাদের রক্ষাকরুন


ঈশ্বর, রোহিঙ্গাদের রক্ষাকরুন।
২৯ আগস্ট ২০১৭, ০০:২৩
পৃথিবীর অনেক এলাকায় চলছে যুদ্ধবিগ্রহ ও সংঘাত,
জ্বলছে আগুন, ফাটছে বোমা, ঝরছে রক্ত, মরছে
মানুষ পোকামাকড়ের মতো। জীবনের নিরাপত্তার
জন্য মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে ছুটছে এক দেশ থেকে
আরেক দেশে। সে তুলনায় দক্ষিণ এশিয়া শান্তিপূর্ণ।
আমাদের নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে আমাদের
সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কখনো যদি কোনো বিষয়ে
সমস্যা দেখা দেয়, তা আলোচনার মাধ্যমে
শান্তিপূর্ণ উপায়ে মীমাংসা করে। বাংলাদেশ
সংঘাতে যায় না।
বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী মিয়ানমার।
কিছুকাল আগেও এর নাম ছিল বার্মা। শৈশবে আমরা
একে জানতাম ‘ব্রহ্মদেশ’ নামে। প্রায় ৯০ শতাংশ
বর্মন জাতিসত্তার মানুষের বাসভূমি বলে এর নাম
ছিল ব্রহ্মদেশ বা বার্মা। ঔপনিবেশিক আমলের পর
থেকেই দেশটি সেনাশাসিত বা সেনানিয়ন্ত্রিত।
দেশটির অধিপতি শ্রেণির মধ্যে সেনাপতি ও বৌদ্ধ
ধর্মগুরুদেরই প্রাধান্য। বেসামরিক রাজনৈতিক
সংস্কৃতি মিয়ানমারে গড়ে ওঠেনি। আধুনিক
ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র কী জিনিস, তা তারা জানে
না। সেই অবস্থায় ইউরোপে শিক্ষাপ্রাপ্ত অং সান
সু চি যখন গণতন্ত্রের কথা বললেন, পশ্চিমীরা তাঁকে
উৎসাহিত করল। প্রতিবেশী হিসেবে আমরাও
ভেবেছিলাম সু চির নেতৃত্বে সেখানে গণতান্ত্রিক
শাসন প্রবর্তিত হবে এবং সামরিক স্বৈরশাসনের
অবসান ঘটবে। কিন্তু সে গুড়ে যে বালি, তা শিগগিরই
বোঝা গেল। গণতন্ত্রের যে জামা তিনি পরে
থাকেন, ওটা তাঁর ছদ্মবেশ।
গত কয়েক দশকে মিয়ানমারে সহিংস বৌদ্ধ
মৌলবাদের উত্থান ঘটেছে। উগ্র মৌলবাদী চার
লাখ বৌদ্ধভিক্ষুর সেই আন্দোলনের ২০০৭ সাল
থেকে নামকরণ হয় ‘স্যাফ্রোন রেভল্যুশন’ বা ‘গেরুয়া
বিপ্লব’। ধর্মনেতারা আন্দোলনটা কোনো ধর্মীয়
বিষয় নিয়ে শুরু করেননি, কিন্তু অবিলম্বেই দেখা
গেল উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠাই তাঁদের
লক্ষ্য।
বার্মার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হাজার
বছরেরও বেশি সময় যাবৎ। বাংলাদেশের
পার্শ্ববর্তী আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের
চর্চা হয়েছে মধ্যযুগে। মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ মুসলমান কবি
সৈয়দ আলাওল, দৌলত কাজী প্রমুখ আরাকান
রাজসভারই কবি। উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের
উত্থানের পর থেকে সেখানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী
ছাড়া অন্য ধর্ম, বর্ণ, ভাষাভাষীর নাগরিক অধিকার
ও মানবাধিকার হরণ করা হয়।
সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মৌলবাদীদের বর্বরোচিত
উৎপীড়ন থেকে জান বাঁচাতে রোহিঙ্গা মুসলমানরা
দীর্ঘ দিন থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত এলাকায়
অব্যাহতভাবে অত্যাচার ও গণহত্যা চালাচ্ছে।
পৃথিবীতে মানবাধিকার বলে যদি কিছু থেকে
থাকে, তাহলে তার লেশমাত্র নেই রোহিঙ্গাদের
জীবনে। রোহিঙ্গাদের অবস্থা খাঁচায় ঢোকানো
বন্দী প্রাণীর মতো। শুধু সেনাবাহিনী নয়, তারা
উগ্র বৌদ্ধ মৌলবাদীদেরও নির্যাতনের শিকার ।
পশ্চিমী গণমাধ্যমের খবরেই জানা যাচ্ছে,
রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে চাল, ডাল, আটা শুধু নয়,
পানি পর্যন্ত নিতে দিচ্ছে না তারা।
গত বছর সেপ্টেম্বরে যখন জাতিসংঘের সাবেক
মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক
তদন্ত কমিশন মিয়ানমারে আসে, তাদের অপদস্ত করা
হয়। তাৎপর্যের বিষয়, গত বৃহস্পতিবার যখন কফি
আনান কমিশন তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে,
সেই দিনই রোহিঙ্গাদের জীবনে নেমে আসে
অবর্ণনীয় নির্যাতন। কফি আনানের প্রতিবেদনে
৮৮টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা
মুসলমানদের নাগরিকত্ব প্রদান এবং তাদের চলাচলে
বিধিনিষেধ প্রত্যাহার।
সারা বছরই কমবেশি নির্যাতন-নিপীড়ন চলে, কিন্তু
২০১২-তে রাখাইন বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের
মধ্যে বীভৎস সংঘাত হয়। ২০১৩-তে মুসলিমবিরোধী
সংঘর্ষ রাখাইন রাজ্যের বাইরে সারা দেশে ছড়িয়ে
পড়ে। ২০১৪-তে মুসলিমবিরোধী একতরফা দাঙ্গায়
মান্দালয়ে বহু হতাহত হয়। গতবার থেকে অত্যাচার
সীমা ছাড়িয়ে গেছে। হত্যা, গ্রামের পর গ্রাম
জ্বালিয়ে দেওয়া, নারী নির্যাতন প্রভৃতি
মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে রাখাইন
প্রদেশে। রোহিঙ্গাদের অপরাধ দুটো: তারা
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাংলায় কথা বলে এবং তারা
ধর্মে মুসলমান।
স্যাফ্রোন রেভল্যুশনের রেশ কাটতে না-কাটতেই
পশ্চিমীরা সেখানে দেখতে পায় ‘বার্মিজ
ডেমোক্রেটিক স্প্রিং’—বর্মী গণতন্ত্রের বসন্ত।
পশ্চিমীরা যেখনই গণতন্ত্রের আভাস পায়, সেখানেই
দেখতে পায় বসন্তের স্নিগ্ধ সুবাতাস। কয়েক বছর
আগে আরবের ওপর মরুভূমির মধ্যে তারা আবিষ্কার
করে বসন্তের। বর্মী গণতান্ত্রিক বসন্তের স্বাদ
সেখানকার মুসলমান, হিন্দু ও খ্রিষ্টানরা হাড়ে
হাড়ে টের পাচ্ছে।
পশ্চিমী প্রচারমাধ্যম কখনো, বলতে গেলে
অধিকাংশ সময় তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক
স্বার্থে সাধারণকে অসাধারণ করে চিত্রিত করে।
বিশেষ করে, উন্নয়নশীল দেশের কোনো কোনো
সাধারণ নেতার অসাধারণ ভাবমূর্তি গড়ে তোলে।
আর যদি তার কথাবার্তায় গণতন্ত্রের গন্ধ থাকে,
তাহলে তো কথাই নেই। তাকে দেবী বা দেবতা
বানিয়ে ছাড়ে। এ ক্ষেত্রে ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত
কর্মী নেত্রী অং সান সু চি।
সু চির রাজনীতি ধর্মভিত্তিক। তাঁর নিজের ধর্ম
বৌদ্ধধর্মনির্ভর, যাকে বলা যায় বৌদ্ধ
জাতীয়তাবাদ। তিনি তাঁর এক রচনায় ফতোয়া
দিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র
বর্ণিত ন্যায়পরায়ণ রাজার ‘দশ-রাজধম্ম’ নীতি
অনুসরণ করা কর্তব্য। একজন শাসকের কী সেই রাজ-
ধম্ম? সেগুলো হলো: ঔদার্য, নীতিজ্ঞান,
আত্মত্যাগ, চারিত্রিক দৃঢ়তা, দয়া, কৃচ্ছ্র,
ক্রোধহীনতা বা অহিংসা, সহিষ্ণুতা এবং
আত্মসংযম। [‘ইন কোয়েস্ট ফর ডেমোক্রেসি’, ১৯৯১]
তাঁর এই উচ্চ নৈতিকতামূলক রচনা পাঠ করে পশ্চিমী
নীতিনির্ধারকেরা দেখলেন, তিনি যে শুধু
‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ তা-ই নন, পশ্চিমের গণতন্ত্রের
যে ধারণা তার অনেক ঊর্ধ্বে তাঁর অবস্থান।
অ্যারিস্টটল, রুশো, ভলতেয়ার তাঁর কাছে কিছু নন।
এই রকম উচ্চ নৈতিকতাসম্পন্ন একজন মহাজ্ঞানী ও
মহাগণতন্ত্রী যদি নোবেল পুরস্কার না পান, তবে
ব্যাপারটি কেমন দেখায়! নোবেল পুরস্কার তাঁকে
দেওয়া উচিত ছিল সাহিত্যে, কিন্তু তাঁরা দেখলেন
নিজ দেশে এবং এশিয়ায় মানবতার বাণী প্রচারক
হিসেবে তিনি মহাত্মা গান্ধীকে ছাড়িয়ে গেছেন।
সুতরাং, তাঁর প্রাপ্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
নিজের দেশে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর
ভূমিকা হবে অতুলনীয়। ‘দশ-রাজধম্ম’ তিনি অক্ষরে
অক্ষরে পালন করছেন ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে
তাঁর দেশে। ব্রহ্মদেশের খ্রিষ্টান, হিন্দু ও
মুসলমানরা এখন তাঁর ‘রাজধম্মে’র স্বাদ গভীরভাবে
পাচ্ছে।
সু চির মধ্যে পশ্চিমী প্রচারমাধ্যম ও তাঁর ভক্তরা
আবিষ্কার করেন এক বিশুদ্ধ শাসকের প্রতিমূর্তি,
তাঁদের ভাষায় ‘বোধিসত্ত্ব’। একবার তাঁকে
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল: ‘আপনি কি একজন নারী
বোধিসত্ত্ব?’ তিনি জবাব দিয়েছিলেন বিগলিত
হয়ে: ‘ওহ ফর গুডনেস সেক, আই অ্যাম নোহয়ার
নেয়ার দ্যাট স্টেজ।’ তিনি বলতে চেয়েছেন, ওই
পর্যায়ে না পৌঁছালেও তাঁর কথা থেকে কারও
বুঝতে অসুবিধা হয় না যে কিছুটা তো তিনি
পৌঁছেছেন বটে। কারণ, সম্ভাব্য ‘বোধিসত্ত্বে’
তিনি পৌঁছাননি, তা অস্বীকারও করছেন না। [অং
সান সু চি, দ্য ভয়েজ অব হোপ—কনভারসেশনস উইথ
এলান ক্লিমেন্ট , লন্ডন, ১৯৯১, পৃ. ৯]
অত্যাচারিত ও বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত
রোহিঙ্গাদের সু চি আখ্যায়িত করেছেন ‘বাঙালি
দুষ্কৃতকারী’ বলে। তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ
জানিয়েছেন। মিয়ানমার সরকারের জাতিগত
নিপীড়ন বিশ্ববিবেককে নাড়া দিলেও শান্তিবাদী
সু চির অন্তঃকরণে করুণার উদ্রেক করেনি।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীর তীরে
যে হাজার হাজার অসহায় মানুষ—শিশু, নারী, বৃদ্ধ—
হাহাকার করছে, তা তাঁর কাছে না পৌঁছালেও
বিশ্ব খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু মহামান্য পোপ
ফ্রান্সিস রোববার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক
প্রার্থনাসভায় বলেছেন, ‘ঈশ্বর, রোহিঙ্গাদের
রক্ষা করুন।’ মহামান্য পোপ বলেছেন, এই নিপীড়ন
বেদনাদায়ক। তিনি সংখ্যালঘু ‘রোহিঙ্গা ভাইদের’
পূর্ণ অধিকার প্রদানের জন্য সবাইকে প্রার্থনা
করতে বলেন।
বার্মিজ সমাজে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব সব সময়ই ছিল,
সেটা ভয়ের ব্যাপার নয়। কারণ, মহান বৌদ্ধধর্মের
নৈতিকতাকে সব ধর্মের মানুষই সম্মান করে। কিন্তু
সাম্প্রতিক সময়ের উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদ অ-
বৌদ্ধদের উদ্বেগের কারণ ঘটিয়েছে। রাজধানীর
বিলবোর্ডগুলোতে যখন লেখা থাকে, মিয়ানমারের
সংবিধানে বৌদ্ধধর্মের ‘স্পেশাল পজিশন’—‘এক
জাতি, এক ভাষা, এক ধর্ম—বৌদ্ধধর্ম’, তখন বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বী ও বর্মন জাতিসত্তার মানুষের বাইরে
অন্যদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ ঘটে বৈকি!
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অত্যাচার ও তাদের
নাগরিক অধিকার হরণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ
বিষয় নয়। তা বাংলাদেশকে বিপন্ন করছে। জনবহুল
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চার লাখ রোহিঙ্গা
শরণার্থীর চাপ সহ্য করছে। বাংলাদেশে বহু উগ্র
ইসলামি গোষ্ঠী সক্রিয়। অভাবের তাড়নায়
রোহিঙ্গাদের অনেকে ওইসব গোষ্ঠীতে যদি যোগ
দেয়, তা হবে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
সুতরাং, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশকে
মিয়ানমারের সঙ্গে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা
চালাতে হবে। সহায়তা নিতে হবে আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়ের। অনেক দেরি হয়ে গেছে। অবিলম্বে এ
উদ্যোগ নিতে হবে জাতীয় স্বার্থে।
রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ শেষ হওয়ার নয়

সিলেটের লামাবাজারে একটি শর্টগানসহ ৪জন আটক

লামাবাজারে একটি শর্টগানসহ
৪জন আটক
সিলেটের লামাবাজারে
চাঁদা আদায়ের সময় একটি শর্টগানসহ ৪জনকে
হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার
কোতয়ালি থানা পুলিশ চাঁদা আদায়ের সময়
তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো- উত্তরবাগবাড়ির ৩৪৭ নং
বাসার শশধর তালুকদারের পুত্র শুভেন্দু
তালুকদার (২২), গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের
দিরাই, লামাবাজার ছায়াতরুর ২১/২ নং বাসার
মৃত মোহন লাল ঘোষের পুত্র অপু ঘোষ, গ্রামের
বাড়ি নবীগঞ্জের কানাইপুর, বীলপাড় ৭৩ নং
বাসার বাসিন্দা মৃত বিজয় রায় চৌধুরীর পুত্র
উজ্জ্বল রায় চৌধুরী, গ্রামের বাড়ি দিরাই
সুনামগঞ্জ ও দাড়িয়াপাড়া মেঘনা-১৪ নং
বাসার বাসিন্দা মৃত সুশিল রায়ের পুত্র সৌরভ
রায় (২৩), গ্রামের বাড়ি তাহিরপুরের
রায়পাড়া।
কোতয়ালি থানার সিনিয়র সহকারি কমিশনার
সাদেক কাউছার দস্তগীর জানান- এরা
দীর্ঘদিন ধরে লামাবাজারের একটি দোকানে
চাঁদা আদায় করে আসছিলো। গত ঈদের আগে
একজনকে তুলে নিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা
আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার
তারা পূর্বের ন্যায় আবারো ওই দোকানে চাঁদা
আদায় করতে যায়।
ওই দোকানের মালিক চাঁদা না দিয়ে আজ
(গতকাল) মঙ্গলবার আসতে বলে। বিষয়টি
পুলিশকে বিস্তারিত জানালে মঙ্গলবার রাত
৮টার দিকে ওই এলাকায় পুলিশ ওৎপেতে
থাকে। পরে আটককৃত ৪জন সেখানে চাঁদা
আদায় করতে আসলে কোতয়ালি থানার
কোতয়ালি থানার সিনিয়র সহকারি কমিশনার
সাদেক কাউছার দস্তগীর ও ওসি গৌসুল
হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের আটক করে।
#আলোকচিত্রে : মুছলিম আলী

রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ বিশ্ব মিডিয়া


বিশ্ব মিডিয়া এবং রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ।
সভ্য জাতির মধ্য হঠাৎ বর্বর হয়ে উঠা বৌদ্ধ ভিখু
এবং মায়ানমার সরকার আজ সারা বিশ্বের কাছে
ঘৃন্য একটি নাম।
যেভাবে রোহিঙ্গা নারী শিশু আবাল বৃদ্ধ
বনিতাদের, গুলি করে, কেটে কেটে, পানিতে ডুবে,
আগুনে পুড়ে, ধর্ষন করে, নির্যাতন করে নির্মম
হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে তাতে করে আদিম
সমাজের বর্বরতাকেও হার মানায়।
বিশ্বমিডিয়া তখনি চিল্লাচিল্লি করে যখন
বিশ্বের কোন প্রান্তে মুসলমান বৈ অন্য ধর্মের লোক
নির্যাতিত হয় বাট গনহারে মুসলিম নিধন হলেও
তাদের দৃষ্টিগোচর হয়না।...... আজ আমরা মুসলিম
রাষ্ট্র সমূহের দিকে চেয়ে আছি যে, তারা
রোহিঙ্গাদের দিকে চেয়ে দেখবে।
কিন্তু আপনার আমার এটা জানার বাহিরে যে, বিশ্ব
মিডিয়া রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞকে কি রুপে রুপ দান
করেছে! তারা এই হত্যাযজ্ঞ কে সন্ত্রাস দমন,
জঙ্গিবাদ দমন সহ আরো অনেক টেররিষ্ট নামে
উপস্থাপন করছে.....এদিকে প্রতিবেশি রাষ্ট্র
হিসেবে তাদের সাথে মোবাইল কানেকশন থাকার
ফলে প্রকৃত সত্যটা এবং নির্যাতনের মাত্রাটা
আমরা অনুভব করতে পারছি।
কোন দেশে মুসলমান সন্ত্রাস হলে সেটা জঙ্গিবাদ,
অন্যান্য ধর্মের হলে সেটা সন্ত্রাস বা বিচ্ছিন্ন
ঘটনা......বিশ্ব মিডিয়া এতোটাই ইসলাম এবং
মুসলিম বিদ্দেষি যেটার ছোয়া বা প্রভাব
বাংলাদেশের মিডিয়াতেও কিছুটা প্রভাব
পরেছে।........
রোহিঙ্গাদের এতোটাই নির্যাতন করা হচ্ছে যে,
সারা জীবন ইসলাম ও মুসলামান দের বিরুদ্ধাচারন
করা ইমরান এইচ সরকারও বলছে মুসলিম বলেই কি
রোহিঙ্গাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতন!!
পরিতাপের বিষয় এটাই যে, সার্ক_ও আই
সি_জাতিসংঘ সবাই আজ বিশ্বমানবাধিকার ধুয়া
তুলেই ক্ষান্ত কোন পদক্ষেপ নিতে দেখছিনা।
.....তাহলে বুঝেন, একজন বামপন্থি ঠিকই বুঝল কেন
এবংকি কারনে রোহিঙ্গাদের এই অবস্থা, আর
আমরা কথিত মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশ তাদের
আশ্রায় না দিয়ে তারিয়ে দিচ্ছি, অথচ ১৫ লক্ষ
ভারতিয় আমাদের দেশে থেকে দেশটাকে চুষে
খাচ্ছে কারনে অকারনে। আর ২ লক্ষ রোহিঙ্গা
সিমান্তে চাতক পাখির ন্যায় আশ্রায় প্রার্থি হয়ে
বসে থাকলেও কুকুরের মত তাদের তারিয়ে দিচ্ছি ...
ধিক শত ধিক আমাদের মুসলমানিত্বে।

ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ,

টিলাগড়ে আবারো ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের
সংঘর্ষ,
পরিস্থিতি থমথমে
অভ্যন্তরীণ বিরোধের
জেরে সিলেট নগরীর টিলাগড়ে আবারো
সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এ
ঘটনায় টিলাগড়সহ আশপাশ এলাকায় থমথমে
পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি
মোকাবেলায় পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান
নিয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব বিরোধের জের
ধরে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির
ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাত ৯টার দিকে
দু’পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল
নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় আশপাশ এলাকায়
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দিগবিদিক ছুটোছুটি
করতে থাকেন পথচারীরা। আতংকে স্থানীয়
ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেন।
অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে সিলেট-তামাবিল সড়কে
যানচলাচল ।
রাত পৌনে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত
ছাত্রলীগের দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ
মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। এরই মধ্যে উভয়পক্ষে
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা
গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় শাহপরাণ (র.)
থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
এদিকে অস্ত্রশস্ত্রসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার
ঘটনায় টিলাগড় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি
বিরাজ করছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ
এলাকায়।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ (র.)
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার
হোসেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে
পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি

#আলোকচিত্রে : মুছলিম আলী

বন্দরবাজারে সংঘর্ষের ঘটনার পুলিশের মামলা #আলোকচিত্রী :মুছলিম আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর সিলেটের বন্দর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি-ছাত্রদলে...