বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

প্যারিসে ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ


সাকিব আহমদ মুছা, প্যারিস (ফ্রান্স) থেকে :- মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। নবগঠিত ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।

পরে বক্তারা বলেন- অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে যখন বংগবন্ধুর কন্যা জননেত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে টিক তখন  জামায়াত বি.এন.পি প্রন্থী এজেন্ট ইসলামের সালাফী বা ওয়াহাবী একটি সুন্নী ধারার কোন গোষ্ঠী এই হামলাগুলি পরিচালনা করেছে কুচক্রি মহল গুপ্ত হত্যার মধ্যদিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া উঠেছে। এদেরকে জননেত্রি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিহত করার আহবান জানান বক্তারা। পরে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন- পরবর্তীকালে ১৯৫৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, নাম রাখা হয়- ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। সংগঠনের প্রথম সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাকিস্তানি সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এ দলটি। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১-র মুক্তিযুদ্ধে দলটি নেতৃত্ব দেয়।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা : কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয় স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মাধ্যমে এই সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়। পরে শুরু হয় সামরিক শাসন। এ সময় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও রাজপথে নামে আওয়ামী লীগ। এভাবে সবসময় নানা আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছে এ দলটি। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ১৯ জানুয়ারি দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে কাজ শুরু করেন। 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নব উদ্যমে এগিয়ে চলা : দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে নেতাকর্মীরাও আবার নব উদ্যমে সংগঠিত হয়। আবারো শুরু হয় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম।  ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন। এ সময় তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন।

সভার শুরুতে ফ্রান্স আওয়ামী লীগ সভাপতি মহসিন খাঁন লিটন ও সাধারন সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছের নেতৃত্বে দলীয় নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক অর্পন করেন ।

বৃহষ্পতিবার প্যারিসের মেট্রো হোস হলে ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র সাধারণ সম্পাদক দিলোওয়ার হোসেন কয়েছ’র পরিচালনায় ও সংগঠনের সভাপতি মহসিন উদ্দিন খান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর শাহাদাৎ আলী। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকী , মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক , ফ্রান্স আওয়ামীলীগ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মন্জুরুল ইসলাম সেলিম , সাবেক সহ-সভাপতি সোনাম উদ্দিন খালিক , জিয়াউল হক চৌধুরী নাছির,মুক্তিযোদ্ধা নূর সহ ফ্রান্স আওয়ামীলীগের নেতারা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বন্দরবাজারে সংঘর্ষের ঘটনার পুলিশের মামলা #আলোকচিত্রী :মুছলিম আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর সিলেটের বন্দর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি-ছাত্রদলে...